সাইমন জাকারিয়া

লালনপন্থী সাধক খোদাবক্স সাঁইয়ের অপ্রকাশিত আত্মজীবনী:
বাউল-সাধকদের জীবনসংগ্রাম, দর্শন ও লোকবিশ্বাস-কিংবদন্তির বয়ান

বাংলাদেশের ভাবসাধক শিরোমণি ও সাধক কবি লালন সাঁই-এর যেমন কোনো প্রামাণ্য জীবনী পাওয়া যায়নি তেমনি উত্তরকালের অধিকাংশ লালন অনুসারী সাধক-ভক্তদেরও কোনো প্রামাণ্য জীবনীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদের অধিকাংশের জীবনী মূলত লোকশ্রুতি নির্ভর, নানাবিধ কাল্পনিক গালগল্পে ও কিংবদন্তিতে পরিপূর্ণ।

একমাত্র গানের ভাষ্যে সাধকদের জীবনী সম্পর্কে যে ইঙ্গিতপূর্ণ নির্দেশনা পাওয়া যায় তাতে করে বাস্তবিক অর্থে প্রামাণ্য জীবনী নির্মাণ বা রচনা করা অত্যন্ত কঠিন ও অসম্ভব হয়ে পড়ে। লালন সাঁই যেমন খুব সুকৌশলে নিজের প্রামাণ্য জীবনীর কোনো তথ্য উন্মুক্ত রাখেননি তেমনি অধিকাংশ লালনপন্থীরাও নিজেদের বাস্তব জীবনকে সাধনার সত্যকে মেনে এবং প্রচলিত সমাজের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে নিজেদের জীবনীকে শিষ্যভক্তদের মধ্যেও রহস্যময় করে রাখেন। কিন্তু লালন-উত্তরকালে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় সাধনার ধারা ও সংগীতের ঐতিহ্যকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার কাণ্ডারি হিসেবে অবতীর্ণ লালনপন্থী সাধক খোদাবক্স সাঁই নিজের আত্মজীবনী রচনার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর স্বহস্তলিখিত আত্মজীবনীর একাধিক পাঠ সম্প্রতি আমাদের হস্তগত হয়েছে। যার একটি পাঠে খোদাবক্স সাঁই শিরোনাম দিয়েছেন “আমার জীবনী” এবং অন্য একটি পাঠের শিরোনাম দিয়েছেন “আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ইতিহাস”। আমাদের এই নিবন্ধের আলোচ্য বিষয় খোদাবক্স সাঁইয়ের শেষোক্ত আত্মজীবনী নিয়ে।

একতারা হাতে খোদাবক্স সাঁই। আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
একতারা হাতে খোদাবক্স সাঁই। আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন

দুই
একুশে পদক ও বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রাপ্ত লালনপন্থী সাধক, সংগীত গুরু, সুরকার ও কবি সংগীতসাগর খোদাবক্স সাঁই রচিত “আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ইতিহাস” তিনি আত্মজবানীর ভঙ্গিতে রচনা করেছেন। যার শুরুতে তিনি তাঁর জন্মের স্থান, জন্মগত পারিবারিক ধর্মের পরিচয়, জন্মের সাল-তারিখ, বার ও সময়ের উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ পিতার ঔরসে জন্ম নেওয়া খোদাবক্স সাঁই নিজের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে বাক্যসিদ্ধ এক সাধক ‘পাগল বিশু শাহ’-এর আশীর্বাদের কথা জানিয়েছেন।

এরপর তিনি নিজের সংস্কৃতি প্রেমের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনের সূচনাতেই তথা ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় এলাকায় আসা কৃষ্ণযাত্রার দলে যুক্ত হন। পরে যাত্রাদলে বিবেকের ভূমিকায় অভিনয়ে যুক্ত হবার কথাও বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীকালে যাত্রাদল ভেঙে গেলে নাটকীয়ভাবে নিজের এলাকায় একটি বাউলগানের আসরে গিয়ে তিনি আকৃষ্ট হন বাউলগানের পরিবেশনে। সেখানে সাক্ষাৎ পান এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত বাউল গানের সাধক শিল্পী অমূল্য শাহ, বেহাল শাহ ও শুকচাঁদ শাহের। যখন তিনি তাঁদের নিকটে বাউলগান শেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন জানতে পারেন বাউল-সাধনায় কোনো গুরুর শিষ্যত্ব না নিয়ে এই গান গাওয়া যায় না। সহসা তিনি সেই দিনই শুকচাঁদ শাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং বাউলগান শিখতে শুরু করেন।

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন সফরে খোদাবক্স সাঁই (ডুগি-একতারা হাতে)। আলোকচিত্র : অশোক ভকত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন সফরে খোদাবক্স সাঁই (ডুগি-একতারা হাতে)। আলোকচিত্র : অশোক ভকত

খোদাবক্স সাঁইয়ের এই বর্ণনা হতে প্রমাণ পাওয়া যায়, সে সময় বাউলগান কেবলমাত্র গুরুবাদী বাউল-ফকির সাধকেরাই পরিবেশন করতেন। সাধন-জগতের বাইরের কেউ তখন পর্যন্ত বাউলগান গাইবার অধিকার অর্জন করেনি। তাই খোদাবক্স সাঁইকে বাউলগান শিখতে ও তা পরিবেশন করার যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য গুরুবাদী ধারায় শিষ্যত্ব নিতে হয়েছিল।

কিন্তু গুরুবাদী ধারায় শিষ্যত্ব নিয়ে বাউলগান শেখা ও পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত হবার পর খোদাবক্স সাঁইকে বেশ কয়েকবার সমাজচ্যূত হতে হয়েছিল। তার প্রমাণ রয়েছে এই আত্মজীবনীর পরের অংশে। যেখানে খোদাবক্স সাঁই লিখেছেন, পরবর্তীকালে প্রায় ১২ বছর ধরে সমাজের মানুষের কাছে নানাবিধ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন এবং শেষে সমাজের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে অন্তত চার চার বার তাদের ডেকে খাওয়াতে হয়েছিল। এরপর তিনি সমাজের মানুষের কাছ থেকে বিবাহ করার অনুমতি পান।

সমাজের মানুষের সেই অমানবিক ও নিষ্ঠুর ব্যবহারের পরও খোদাবক্স সাঁই গুরুবাদী ধারায় নিজের সাধন ও সংগীত জীবন ছাড়েননি। তিনি লিখেছেন প্রায় ৩৬ বছর ধরে তিনি দাস্যভাবে সাধুগুরুদের সঙ্গে সাধন ও সংগীত জীবন অতিবাহিত করেছেন।

“আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ইতিহাস”-এ নিজেকে ‘সংসারি বাউল’ হিসেবে উল্লেখ করে পারিবারিক জীবনে স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের নাম ও পরিচয় দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্ত্রী সম্পর্কে লিখেছেন-“আমার স্ত্রীর নাম রাহেলা খাতুন। আমার সকল কর্মের প্রাণসম সাহায্যকারী।” এরপর তিনি ‘সংসারি বাউল’ ও ‘ত্যাগী বাউল’-এর পার্থক্য বোঝাতে লালন সাঁইয়ের দ্বিতীয় প্রজন্মের সাধক ও লালন সাঁইয়ের আখড়ার বিখ্যাত খাদেম কোকিল শাহের সঙ্গে নিজের কথোপকথন তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি খোদাবক্স সাঁইয়ের সময়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘ ও সর্পের গান শোনো দুটি অলৌকিকতুল্য বাস্তবঘটনার উল্লেখ করেছেন। এই কাহিনীতে মানুষের বাইরে প্রকৃতির বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি লালনপন্থী সাধকদের প্রেমময় ও গুরুবাদী দৃষ্টির প্রকাশ রয়েছে।

এ পর্যায়ে পাঠকের জন্য খোদাবক্স সাঁই রচিত “আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ইতিহাস”-এর খণ্ডিত পাঠ তুলে দিচ্ছি।

হক নাম ভরসা
আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ইতিহাস
খোদাবক্স সাঁই

আমি খোদাবক্স বলছি, কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমার আলমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত জাঁহাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে ১৩৩৪ সালে চৈত্র সংক্রান্তিতে আমার জন্ম হয়, দিন শুক্রবার, ভোরে। তখন আমার পিতার বয়স ৬০ বছর। [আমার জন্ম]-এর মূলে ছিলেন এক বাক্যসিদ্ধ ফকির, তাহার নাম পাগল বিশু শাহ।তিনি আমার মাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আমার পিতার নাম কফিলউদ্দিন বিশ্বাস। উক্ত ফকির আমার নাম রাখেন খোদাবক্স।

আমি যখন ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকে আমার গান বাজনা ভাল লাগতো। লেখা পড়ায় মন বসতো না এবং বাল্য কাল হতেই নির্জন বাস ভাল লাগতো। ঐ সময় এল এক কৃষ্ণযাত্রার দল। আমি পড়া ছেড়ে ঐ দলে ভর্তি হলাম। কিছু দিন পরে গেলাম অপেরায়, তাতে বিবেকের গান করতাম। এদিক সংসার দেখতেন দুই ভাই। আমার জমাজমিও ভালই ছিল।

১৩৪৬ সালে [গানের] দল ভেঙ্গে গেল। পরে বাউল গান শুনতে গেলাম। গান শুনে মন ব্যাকুল হয়ে উঠলো। তায় গায়কের নাম জিজ্ঞাসা করলাম।

একজন বললে, আমার নাম অমূল্য শাহ। আর একজন বেহাল শাহ। আর একজন শুকচাঁদ শাহ গোসাঁই। [তারা] আমাকে বললে, ‘খোকা আমাদের নাম জিজ্ঞাসা করছো কেন?’
আমি বল্লাম, ‘ঐ ভাব গান শিখবো।’

[শুকচাঁদ] সাঁইজি বললে, ‘তাহলে বাউল মতে মুরিদ হতে হবে।’
তাই আমি শুকচাঁদ সাঁইজির নিকট মুরিদ হলাম এবং বাউল গান শিখতে লাগলাম। দীর্ঘ ৩৬ বৎসর এই বাউল গান করছি।

আমার গুরু শুকচাঁদ শাহ। তিনার শুরু খোদাবক্স শাহ (ঝিনাইদহ জেলার হরিয়ারঘাটে বাড়ি)। তিনার গুরু মনিরদ্দি শাহ। তেনার গুরু লালন সাঁই।
আমি যখন মুরিদ হই তখন আমার মা জীবিত ছিলেন।

আমাদের গ্রামের পাশে খাসকড়রা গ্রামের নিজামদ্দিন বিশ্বাসের যুক্তিতে এবং উক্ত নিজামদ্দিন বিশ্বাসী আমাকে অনেক সাহায্য করিয়াছেন বা সৎ উপদেশ দিয়েছেন। আমি এখনো তিনাকে অতিশয় শ্রদ্ধা করি।

তারপর মুসলিম সমাজ আমাকে সমাজচ্যূত করেন। একবার নয় চারবার আবার তাদের ভোজ (খাবার খেতে) দিলে সমাজে নিয়েছে। তখন আমার বিবাহ হয়েছে।

আমার বাড়ির উপর একটা কামিনী ফুলের গাছ আছে। প্রত্যেহ সন্ধ্যায় ঐ গাছের গোড়ায় বসে গুরুর ধ্যান ধারণা করি। এমন দিন আছে সারা রাত্রিও কেটে যায়। আর মাঝে মাঝে গান গাই বা সাধুসঙ্গে যাই। এইভাবে ১২ বৎসর কেটেছে। তারপর সমাজ আমাকে মেনে নিয়েছে।

আমার স্ত্রীর নাম রাহেলা খাতুন। আমার সকল কর্মের প্রাণসম সাহায্যকারী। এখন আমার একটা কন্যা ও একটা পুত্র। কন্যার নাম মালঞ্চ ও পুত্রের নাম লতিফ বিশ্বাস। সে এবার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

১৩৫৭ সালে আমার সাঁইজি [শুকচাঁদ শাহ] দেহ রেখেছেন। সেই হতে তিনার স্মরণে ১০, ১১, ১২ বৈশাখ উৎসব হয়।বহু যায়গা হতে গায়ক এবং সাধু সমাবেত হয় এবং নিজের ভক্তবৃন্দরা সাহায্য করিয়া থাকে।

এটা [সত্য] যে আমি ত্যাগী বাউল নই, আমি সংসারি বাউল।
দরবেশ লালন সাঁই আখড়ার খাদেম কোকিল শাহ একজন মরমি সাধক। একদিন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “বাবাজি, সংসার বিষয় এবং বিন্দুপাত হলে নাকি ধর্ম নাহি হয়?”

কোকিল শাহ আমাকে খুব ভালবাসতেন। তায় আমাকে বললেন, “শোন বক্স, ‘গৃহে থেকে হয় যার ভাবের উদয়, পরম বৈষ্ণব সে জানিবে নিশ্চয়।’ লালন সাঁইজি বলেছেন, ‘ভাবের উদয় যে দিন হবে, সেদিন হৃদকমলে ভাব ঝলক দিবে।’

তায় এখন বোঝ বক্স, এই বাউল ধর্ম কেবল মনে বেচা-কিনা। বাউলরা দেহকেন্দ্রিক। বিন্দু সমন্ধে কবি বিজয় কৃষ্ণ সরকার বলেছেন, ‘মানুষের হারায় না কিছু বুঝলাম এতদিন, সব হারাইলে সব পাওয়া যায় আছে এমন দিন।’

কাজেই ওসব চিন্তা করে লাভ নাই। একমাত্র গুরু নিষ্ঠা থাকা চাই।
খোদা বক্স, তোমার ওখানে যে সাধুসঙ্গ হয়। তাতে খরচ কেমন হয়?”
আমি বল্লাম, ‘১২-১৩ মন চাউল খরচ হয় বা সেই পরিমাণ টাকা পয়সা।’

বেহাল শাহ প্রত্যেক সাধুসঙ্গে যোগদান করতেন। এই লালনগীতির আসান-সুর বেহাল সাঁইজির নিকট পাওয়া যেত। বেহাল সাঁইজিকে আমি কাকা বলে ডাকতাম। তিনি আমাকে খুব ভালবাসতেন। বিভিন্ন যায়গায় একসঙ্গে গান গাইতাম।

আজ বেশ কিছুদিন আগের কথা। গান করতে গিয়াছিলাম কুষ্টিয়া জেলার পিরোজপুর গ্রামে। গানটা ভীষণভাবে লেগে গিয়াছে। এই সময় কাকা পিসাব (প্রস্রাব) করতে যায়। ফিরে এসে বললেন, ‘এই ঝোপের নিকট কি যেন একটা ডোর ডোর জন্তু শুয়ে আছে।’ এই শুনে কিছু লোক দৌড়ে গেল। যেয়ে দেখে ভীষণ একটা বাঘ। লোকের তাড়া খেয়ে [বাঘটা] বড় জঙ্গলে ঢুকলো।
কাকা তখন বললেন, ‘বাবা, আমার ভুল হয়েছে। সাঁইজির কোন ভক্ত বাঘরূপী গান শুনছিলেন’ বলে একটা ভক্তি করলেন দুই হাত জোড় করে।’

কোকিল শাহ বললেন, ‘বেশ একটা বিরাট ঘটনা। তা হলে সাঁইজির গান বনের বাঘেও শোনে।’
আর একটা ঘটনা আলমডাঙ্গার নিকটে গোবিন্দপুর শাবান মণ্ডলের বাড়ি গান হচ্ছে। এমন সময় রাত্রি ১০টার সময় গান বেশ খুব ভালই জমেছে। এক আতা গাছের গোড়ায় আসরের নিকট একটা ভীষণ খৈয়ে গখুরা কুলিন সর্প ১ হাত উঁচু হয়ে পট মেলে ফণা তুলে গান শুনছে, আর লেজ নাড়ছে। এতে গাছের পাতায় খড় খড় শব্দ হচ্ছে।

একটা কুকুর হাও হাও করে ছুটে চলে এলো, জনতা দেখে ভীষণ সর্প গান শুনছে। সকলেই অবাক। শাপটা চলে যেতে লাগলো গোরস্থানের দিকে।

এমন সময় [একটা লোক]এক বাড়িতে (আঘাতে) শাপটা মেরে দিলে।
সাধুরা বললে, ‘এখানে সেবা হবে না।’
জোনাব আলি শাহ আঁচলা নিয়ে উঠে পড়লো।

তখন আতিয়ার রহমান খান বললেন, ‘সর্পটা আগের জন্মে সাধু ছিল। তাই বিষের কথা ভুলে গান শুনতে এসেছিল হয়তো। এখন সাধুর নিকটে [এসে] জীবন দিতে হলো …।’ [খণ্ডিত]