ছন্দকার সুজন বড়ুয়ার তিনটি ছড়া

নয়নতারা

একটি দুটি তিনটি চারা
এক টবে তিন নয়নতারা
ফুল ফোটানোর ভীষণ তাড়া
তাই চলে রোজ জলের ধারা
কদিন যেতেই ডালপালারা
লাফিয়ে যেন পাগলপারা
তারপরে দেয় মিষ্টি সাড়া
কা-টা নয় সৃষ্টি ছাড়া
লাল-বেগুনির কী ইশারা
পাতার ফাঁকে ওসব কারা
আকাশ থেকে নামছে তারা?
ফুলকলিদের কড়া নাড়া!
ফুলের শোভায় মাতল পাড়া
টবের মালিক আত্মহারা।

 

এই শহরের গাড়িগুলো

এই শহরের গাড়িগুলো
ওড়ায় ধোঁয়া ওড়ায় ধুলো
হর্ন-ভেঁপু বাজিয়ে বাধায়
যখন তখন হুলস্থূলও।

ছোট গাড়ি বড় গাড়ি
রং বাহারী সারি সারি
কোথাও আবার এলোপাতাড়ি
আগে যাওয়ার বাড়াবাড়ি।

যায় না লেখা সে বর্ণনা
রাস্তা যেন সাপের ফণা
একটু হলে অন্যমনা
ঘটবে মহা-দুর্ঘটনা।

ঘুরছে গাড়ির ব্যস্ত চাকা
চাকায় কারো স্বপ্ন আঁকা
আবার কারো কপাল ফাঁকা
এর নামই তো শহর ঢাকা।

এই শহরের গাড়িগুলো
ওড়ায় ধোঁয়া ওড়ায় ধুলো
কাউকে বানায় হালকা তুলো
কাউকে বানায় পঙ্গু-নুলো।

 

ঝিলের জলে

ঝিলের জলে মস্ত রিং
ঝিলবাসীদের গোল মিটিং
গোল মিটিংয়ে সবার পণ
করবে রাজা নির্বাচন
নির্বাচনে শোলের জয়
কর্মী বটে, মন্দ নয়,
কিন্তু এ কি দু’দিন পর
বিপদ বড় ভয়ঙ্কর
রাজার মুকুট হাইজ্যাকিং
নেই প্রহরী মাগুর শিং,
পাইক-পেয়াদা পাবদারা
দেখায় নেতার ভাবধারা
মুকুট খোঁজে চতুর্দিক,
মন্ত্রীদের আসন ঠিক।