ব্যবধান
স্মৃতির জমিন ফুঁড়ে আচমকা ফুটে ওঠে টকটকে গোলাপ
জানালা ভেদ করে এক ফোঁটা অন্ধকার আছড়ে পড়ে মনে
সোডিয়াম বাতি গিলে ফ্যালে জ্যোছনার শৈল্পিক আলো
আমাদের শৈশব থেকে যৌবন গ্রাস করে নেয় হতাশার শানিত থাবা
অলস হয়ে হাই তোলে অভিমান আর কাঁদতে ভুলে যায় চোখ
পুঁজিবাদের চশমা চোখে প্রেম খুঁজি আমরা বিনিময়যোগ্য ক্যাশে
চুরি যায় আমাদের আদর্শ আর বিবেক অঘোরে ঘুমোয়
আমরা সত্যের লেবাস পরে ঘুরি স্বগৌরবে মিথ্যার অক্সিজেন গিলে
আমাদের শহর ছেয়ে গেছে কর্পোরেট শোকের বিজ্ঞাপনে
আমাদের শব্দ সেন্সর বোর্ডে আর স্বাধীনতা লুকিয়ে আছে সংবিধানে
বুদ্ধি জীবিকা যাদের হাওয়া আর তৈল তাদের প্রমোশন
কবির পঙতি শুধু ফুল পাখি আর প্রেমিকার নিবিড় আঁচলতলে
আমাদের স্বপ্ন লুট হয়ে যায় বখাটে কিশোরের চাইনিজ ছুরির আগায়
কোন পৌঢ় শিল্পপতির মুখে চুমু খেয়ে ভেগে যায় আমাদের প্রেমিকারা
মুর্খ সম্পাদকের কলমের ডগায় আটকে যায় আমাদের সৃজনশীলতা
মৃত্যু, খুন আর বলাৎকারের খবর ঘুরেফিরে ভরে থাকে শিরোনাম জুড়ে
তবু, নিরাশার অন্ধকার মুছে মনে হয় আশার আগমন আসন্ন
ফ্যাকাশে সবুজ দেশ হয়ে উঠবে স্বপ্নের স্বাধীন ইউটোপিয়া
আগামীর নবীন যুবকের চোখে দেখবো বলে রঙীন স্বদেশ
শীর্ণ শরীরে কাদামাটি মেখে পড়ে আছি এখনো হইনি নিরুদ্দেশ।