অধুনা দিনের কাসিদা
০১.
মানুষে মানুষের এতযে পুজা চান;
বুঝেনি আগে আমি তাইতো বিস্ময়।
প্রেম ও ভালোবাসা উড়ছে কর্পুরে;
পুষ্প তরতাজা, তৈল সরিষায়-
লোকেরা হতে চান খুশিতে গদগদ
দাসের পাঠ নিয়ে মঞ্চে প্রভু সাজ,
মুচকি হাসি পায় বলি না আর কারও
নিখিলে বড় ভয়, কী থেকে কী যে হয়!
জানি না বলে তাই, রয়েছি সংশয়ে;
লুকায় আপনাকে গভীর গহ্বরে।
০২.
মিলেছে বর-বউ কাম্য সন্তান,
জরায়ু মেলে ধরে লুটেছে ভ্রুণদল।
দশম মাস পর পুত্র কোলজুড়ে;
পেয়েছে চুম্বন আলো ও হাওয়াদের।
অনেক রাতদিন আসেনি চোখে ঘুম,
গন্ধ প্রকটিত যদিবা মুত্রের-
নিয়েছে বাবা-মায়ে সহজে মেনে তারা।
চুষেছ মার দুধ, খেয়েছ পেট পুরে,
কখনো কোনোদিন চায়নি দাম তার।
বাবা ও মাকে নিয়ে বিদিক তামাশায়,
কখনো বখে গিয়ে, গিয়েছ রসাতলে।
বৃদ্ধ আশ্রম ভরসা শেষমেশ-
একুশ শতকের বৃহৎ জঞ্জাল:
জননী-জনকেরা ঝামেলা কাঁটাতার।