জীবনানন্দ সুর
ভালোই চলছে,
ভালোই চলে দিনরাত্রি
চেনা অচেনার গন্ডি মাঝে
শব্দের ঝড়ই কেবল এলোমেলো হয়
শব্দ খেলার নেশায়।
চলুক না তবে এভাবেই!
যাত্রাপথে অবরোধ,
মিছিল দেরি করায়
তবুও আমি দুঃখ বিলাসী নই।
আমার অনশন—
শব্দ সিঁড়ির শেষ ধাপে
অগাধ জলে জলকেলি হয়না
অনুভবের স্পর্শে কেবল অতল ছুঁয়ে থাকা
কেউ কি কখনো পেরেছে অতলে পৌঁছতে?
তোমাতে যে নীলরঙা মানুষের বাস
আঁধারে তাকে জোসনার গল্প বল,
তাকে বলো—
সভ্যতার প্রহরী হতে
জন্মান্তর সময় হাতে
শস্পাবৃত প্রান্তরে আমি আসবো।
আমি আসব অকাল বৈষম্য ঠেলে
ভালবাসা হাতের মুঠোয় নিয়ে,
আসবো বন জুঁইয়ের মাঠে।
ঘৃণিত পরাজয়, বিচ্ছেদ, ব্যবধানে রেখে
আসবো একমুঠো রোদ্দুর ছুঁড়ে দিতে
অবিরাম কথকতা নিয়ে আসবো
নুয়ে পড়া চালে
ঘুমিয়ে থাকা কিশোরের জন্য।
তোমাকে নিয়ে যাবো
দুর হতে দূর আরও দূর !
যেখানে শঙ্খচিলের ঠোঁটে ভাসে
জীবনানন্দ সুর।
অপ্রকাশিত
মেরুদণ্ড ক্ষয়ে
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে যে,
সে আর কেউ নয়
সে আমার স্বাধীনতা
কাগজের পাতা বাতাসে উড়ে
খুঁজে চলে স্বাধীনতার স্বাদ
পচা ডোবায় গেলে পাওয়া যেত হয়তো!
সে পথে অনীহা!
স্বাধীনতার অভিযোগ জমা হচ্ছে
রক্তের দাম কমে যাচ্ছে,
রক্তের দাম বেড়ে যাচ্ছে ।
তুমি আয়োজন করে ফানুস ওড়াও
আমি নতমুখী উন্মাদ!
আমি স্বাধীনতা খুঁজি ভিখিরির থালায়
স্বাধীনতা খুঁজি প্রকম্পিত মিছিলে
খুঁজি বটের ঝুরিতে শিশুর দোল,
স্বচ্ছ দিঘিতে এলোপাতাড়ি ঝাঁপ!
স্বাধীনতা খুঁজি দিনমজুর দৃষ্টিতে
খুঁজি ঘর্মাক্ত বাবার স্বপ্ন বোনায়
উঠোনে ধান শুকোতে দেয়া মা’র
রোদ পাল্টানো পায়ের অপেক্ষায়!
স্বাধীনতা খুঁজি পড়ুয়া সরলতায়
স্বাধীনতা খুঁজি কিশোরীর ওড়নায়!
অষ্ট প্রহর কেটে যায়,
আমি উন্মাদ বুকের ক্ষত বাড়াই
স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা
এস পদ্মার জোয়ারে;এস তিস্তা বয়ে
এস আমার পূর্ব পুরুষের অভিশাপ
মুক্তি দিতে!
এস নীল-হলুদ আর লাল-সবুজ
সুতোয় একটা রুমালের
নকশা হয়ে!
মা
নগ্ন পথের ধুলোয় বিস্ফারিত চোখ!
তমোহর সময়ে আঁচড় কাটে ভূলুণ্ঠিত অশ্রুজল।
পোড়া রাত্রির মেরুকরনে দায় কার?
ঈশ্বরে বসবাসরত প্রস্ফুটিত চোখ
বাজি ধরে,
তুমি মা!
ধরিত্রীপুরে তোমার বসবাস।