জায়নামায
অজানা পথের রাঙা খুন মেখে মন যে বিধুরা হোলো
তবুও জননী ব্যথার পাথারে ক্ষমাগার গ’ড়ে তোলো।
সব ভেদাভেদ প’ড়ে থাক্ পিছে
সত্য চাপা যে মিথ্যার নীচে
জেগেছে শক্তি শোকের লেবাসে,দুখের কাহিনী ভোলো
রক্ত আখরে লেখা এ কাব্য – নতুন ছন্দে দোলো।
ছিলো যতো ভুল সব যেন আজ ফুল হয়ে ফোটে ধীরে
আলোর কণিকা আঁধার বিনাশে রেখেছে তাহারে ঘিরে।
স্বয়ং স্রষ্টা সৃষ্টিকে তাঁর
পূণ্য গাহনে ডাকে বারেবা্র
তাই পাপরাশি অনুতাপ হয়ে ভেসে যায় আঁখি নীরে
ভাঙনের খেলা কল্যাণ বয়ে আনে জীবনের তীরে।
কিছু বেদনার সতেজ দহনে বে-রহম হলে আজ
বিষণ্ণতার অশুচি বেলাতে বাকি রবে শত কাজ।
তারচেয়ে ভালো প্রেমের আগুন
পশরা সাজিয়ে ছড়ালে দ্বিগুণ
প্রতিহিংসার আবাদী জমিনে প’ড়ে যাবে সাজ সাজ
এখনি সময় কাতারে দাঁড়াতে বিছাও জায়নামায।